সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার। ছাত্র-জনতার শক্তিশালী আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, আওয়ামী লীগ এবং এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও এই দাবির পক্ষে ছিল, যারা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকেও আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়। সর্বশেষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিল।
গতকাল রাতেই সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শাসনামলে, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসব সম্পর্কিত প্রমাণ দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।'